প্রকাশিত: ১১/০২/২০২১ ৭:৫৩ পূর্বাহ্ণ
বস্তা বস্তা ইয়াবা ও টাকা উদ্ধারের দুই মামলা

এম.এ আজিজ রাসেল:
কক্সবাজারে ১৭ লাখ ৭৫ হাজার ইয়াবা ও নগদ এক কোটি ৭১ লাখ টাকা উদ্ধারের ঘটনায় দুটি মামলা রুজু হয়েছে।

বুধবার দুপুরে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় এ দুটি মামলা রুজু করা হয়। এছাড়া ওই ঘটনায় আটক ইয়াবা ডন যুবদল নেতা ফারুকসহ ৫ মাদক কারবারীকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছেন পুলিশ।

বৃহস্পতিবার রিমান্ড আবেদনের শুনানির দিন ধায্যর্ করা হয়েছে বলে জানান কক্সবাজার জেলা ডিবি পুলিশের ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী। তিনি জানান, এ ঘটনায় কক্সবাজার মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলা রুজু করা হয়েছে। উক্ত মামলা দুটিতে গ্রেপ্তারকৃত ৫ জনকে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

অপরদিকে কক্সবাজার এবং আশপাশের এলাকার ৮০ জন মাদক কারবারির তালিকা করেছে পুলিশ। যাদেরকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। সেই তালিকার সূত্র ধরে অভিযান চালানো হচ্ছে। গণমাধ্যমকে এমনটি জানিয়েছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান।

তিনি বলেন, মাদক আমাদের জাতীয় শত্রু। মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। মাদকে যারা জড়িত, যারা বিনিয়োগকারী এবং পৃষ্ঠপোষক তাদের শেকড় যতই গভীর হোক না কেন কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

এসপি বলেন, জেলা পুলিশের প্রতিটি সদস্য সোচ্চার। মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান আরো জোরদার করা হবে। বড় বড় মাদক কারবারিকে আমরা আটক করব।
তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত ব্যবসায়ীর পরিবর্তন হচ্ছে। ভিন্ন কৌশলে ইয়াবায় সংযুক্ত হচ্ছে। প্রত্যেকটি বিষয়কে আমরা নজরদারিতে রেখেছি। তার জন্য গোয়েন্দা ইউনিট কাজ করছে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারী) দুই দফায় অভিযানে ১৭ লাখ ৭৫ হাজার ইয়াবাসহ হাতেনাতে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। যেটি এযাবৎকালে কক্সবাজারের সর্বোচ্চ মাদকের চালান। আটক গডফাদার জহিরুল ইসলাম ফারুক কক্সবাজার শহরের উত্তর নুনিয়াছড়ার বাসিন্দা নজরুল ইসলামের ছেলে।

মঙ্গলবার দুপুরের প্রথম অভিযানটি করা হয় কক্সবাজার সদরের চৌফলদন্ডি ব্রিজ সংলগ্ন নৌঘাটে। ওই সময় মাছ ধরার ইঞ্জিনের নৌকা থেকে ১৪ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করে পুলিশ। সেখান থেকে নৌকার মালিক নুরুল ইসলাম বাবুইয়া (২৮) এবং জহিরুল ইসলাম ফারুক (৩৫)কে হাতেনাতে আটক করা হয়। পরে জহিরের স্বীকারোক্তিতে তার শ্বশুর আবুল কালাম ও শ্যালক শেখ আবদুল্লাহকে আটক করে পুলিশ। একই দিন রাত ৯টার দিকে তার চাচা শ্বশুর সৈয়দ আহমদের বাড়ি থেকে আরো ৩ লাখ ৭৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ সময় সৈয়দ আলমের স্ত্রী সমিরাকেও আটক করা হয়েছে।

অভিযানকালে ফারুকের মালিকানাধীন দুই বস্তা ভর্তি নগদ এক কোটি ৭০ লাখ ৬৮ হাজার ৫০০ টাকা মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদিকে, হঠাৎ এতগুলো ইয়াবা কোত্থেকে এলো, প্রশ্ন সবার। ফারুকের আশ্রয়দাতা শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে কিনা— সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, মাদক ব্যবসা একজনে হয়না। সিন্ডিকেট করেই হয়। এটাতে ফরোয়ার্ড এবং ব্যাকওয়ার্ড পন্থা থাকে। ফারুকের মাদক কারবারের নেপথ্যে আরো কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে। ফারুকের মাদক বিক্রির টাকাগুলো যারা জেনেশুনে হেফাজতে রেখেছিল তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান।

স্থানীয়রা জানিয়েছে, জহিরুল ইসলাম ফারুক দীর্ঘদিন ধরে মাদক কারবারে জড়িত। তার সহযোগী নুরুল ইসলাম বাবু নিজেই নৌকা চালিয়ে গভীর সাগর থেকে চালান তুলে দিত উপকূলে। সিন্ডিকেটে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

পাঠকের মতামত

সফরে বিনোদনের পাশাপাশি জীব-বৈচিত্র্য সম্পর্কে জানার সুযোগ পেয়েছে উখিয়া কলেজ শিক্ষার্থীরা

সফরে বিনোদনের পাশাপাশি জীব-বৈচিত্র্য সম্পর্কে জানার সুযোগ পেয়েছে উখিয়া কলেজ শিক্ষার্থীরা

পলাশ বড়ুয়া:: উখিয়া কলেজের বার্ষিক শিক্ষা সফর-২০২৫ সম্পন্ন হয়েছে আজ। নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে প্রায় ...
রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত 

রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত 

পলাশ বড়ুয়া:: কক্সবাজারে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। ভাষা দিবসের কর্মসূচিতে রোহিঙ্গা ...